টাঙ্গাইল সদরের শ্যামার ঘাটে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে

অপরাধ টাঙ্গাইল সদর দুর্ঘটনা পরিবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের চর ফতেপুর থেকে শ্যামার ঘাট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার নদী এলাকা জুড়ে ৩টি বাংলা ড্রেজারে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে। এতে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সদ্য নির্মিত হওয়া শাম্যার ঘাট ব্রীজ এবং ১২০টি পরিবারের জন্য নবনির্মিত গুচ্ছ গ্রামের আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলো।

 

জানা যায়, ইতোমধ্যে বন্যায় ব্যাপক ভাঙন কবলিত হয়েছে এই ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। ভাঙনে গ্রামবাসী হারিয়েছেন শত শত একর আবাদী জমি। ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ড্রেজারগুলো চলমান থাকায় প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না গ্রামবাসী। ধলেশ্বরী নদীর অংশেও চলমান রয়েছে একাধিক বাংলা ড্রেজার।

এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের চর ফতেপুর গ্রাম থেকে শ্যামার ঘাট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার ধলেশ্বরী নদীর এলাকা জুড়ে অবাধে চলছে ৩টি বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন। বছর জুড়ে বালু উত্তোলন আর বিক্রি চলমান থাকলেও প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ।দাইন্যা ইউনিয়ন নজরুল ইসলাম, লিটন নামে এই ২ জন ধলেশ্বরী নদীর চর ফতেপুর এলাকায় চালাচ্ছে বালু উত্তোলন আর বেলচা দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক, ট্রাক্টার দিয়ে মাটি বিক্রয় করছে। ধলেশ্বরী নদীর শ্যামার ঘাটে সদ্য নির্মিত ব্রীজের পাশ থেকেই অবৈধভাবে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করছে তারা।এতে হুমকির মুখে রহছে শ্যামার ঘাটের ব্রীজ।

স্থানীয় সবুজ হোসেনসহ একাধিক গ্রামবাসীর অভিযোগ করেন, অবৈধ এই বাংলা ড্রেজারে বালু উত্তোলনের ফলে তাদের ফসলী জমি, বসতভিটা ও গাছপালা নদী ভাঙনের কবলে পরেছে। নিয়মিতভাবে অবৈধ এই ড্রেজার চললেও স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। এভাবে নিয়মিত ড্রেজার চালু থাকায় দিনদিনই বাড়ছে নদীর আশেপাশের এলাকায় বসতবাড়ি ভাঙনের শঙ্কা।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন উপজেলায় ড্রেজার বন্ধে প্রশাসন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সদর উপজেলায় কেন নেয়া হচ্ছে না এ ধরণের কোন পদক্ষেপ । এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে উঠেছে নানা প্রশ্ন । স্থায়ীভাবে বাংলা ড্রেজার বন্ধের দাবি জানান চরফতেপুর সহ শ্যামার ঘাট গ্রামবাসীরা।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার জানান মাটি কাটে বিষয়টি জানা ছিলো না। আমি খোঁজ খবর নিয়ে এর ব্যবস্থা নিবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *