
সখিপুর প্রতিনিধি: সখিপুর উপজেলায় কাকলি (৩৫) নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার, ৩ আগস্ট সকালে উপজেলার জেলখানা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাকলি উপজেলার ইছাদিঘী গ্রামের আতিয়াপাড়া বাসিন্দা। ঘটনার পর তার স্বামী অভিযুক্ত মেহেদী হাসান পালিয়ে গেছেন।
নিহত কাকলি উপজেলার মুচারিয়া পাথার এলাকার মৃত আবদুস ছবুর মিয়ার মেয়ে। তিনি স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ জেলখানা মোড়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, মেহেদী হাসান ও কাকলির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। রোববার সকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মেহেদী ঘরের মাংস কাটার ছুরি দিয়ে কাকলির শরীরে উপর্যুপরি আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই কাকলির মৃত্যু হয়। ঘটনার পর মেহেদী বাসা থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত কাকলীর মেয়ে মেরি আক্তার বলেন, ‘আমার আব্বা ভালা না। আম্মু আব্বারে ডিবোর্স দিব। আমি আর আম্মু কাপড় গোছাইতেছিলাম বাড়ি যামু গা, আব্বা ছুরি কিনা আনছে, পিছন থেকে আব্বা আম্মুরে ছুরি দিয়া মারছে, আমার আম্মু কান্না করতে করতে মইরা গেছে গা।’
এলাকাবাসী জানান, ঘটনার পর মেহেদী বাসা থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।