
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৃত্তি পরীক্ষায় বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও সমমনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী টাঙ্গাইল কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শিক্ষকবৃন্দরা অংশ নেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক, মানববন্ধন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আবীর আহমেদ, টাঙ্গাইল কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আরিফ খান স্বাধীন, মির্জাপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. কাশেম সিকদার, কালিহাতী উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন মোল্লা, ধনবাড়ী উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সখীপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর চলতি বছরের ১৭ জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেন। কিন্তু পরিপত্রে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা দেশের ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রায় এক কোটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জারিকৃতি পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক, পক্ষপাত ও অগ্রহণযোগ্য পরিপত্র বাতিল করে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভূক্ত করে বৈষম্যহীন ও গ্রহণযোগ্য নতুন পরিপত্র জারি করার দাবি করছি।
বক্তারা আরও বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকার শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে, দুপুরের খাবার দিচ্ছে। অথচ সরকারের এসব খাতে ব্যয় ছাড়া প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিয়েছে দেশের কিন্ডারগার্টেনগুলো। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা সরকারি বই পাচ্ছে, সরকারি সনদ পাচ্ছে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। অথচ প্রাথমিক বৃত্তিতে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি না করে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। দ্রুত এই বৈষম্য দূরীকরণের দাবি করছি। নতুন পরিপত্র জারি করা না হলে কঠোর হুঁশিয়ারিও দেন অ্যাসোসিয়েশনের এই নেতারা।