মধুপুরে রাতে বনে ঘোড়া জবাই করে মাংশ প্রস্তুতের চেষ্টা: আটক-১

অপরাধ দুর্ঘটনা পরিবেশ মধুপুর স্বাস্থ্য

মধুপুর প্রতিনিধি: মধুপুর বনের ভেতর রাতের আঁধারে ঘোড়া জবাই করে বিক্রির উদ্দেশ্যে মাংস প্রস্তুতের সময় আজাদ মিয়াকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার , ২৬ জুন গভীর রাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মধুপুর বনাঞ্চলের মোনারবাইদ (শেওড়াতলা) নামক স্থানের বনের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনাটি শনিবার, ২৮ জুন জানাজানি হয়। আটক আজাদ মিয়া জামালপুর সদর উপজেলার তুলসীপুরের দড়িপাড়া গ্রামের মৃত জব্বার আলী ওরফে জবরের ছেলে।

জানা যায়, মাংস বিক্রির জন্য বনের ভেতরে ঘোড়া জবাইয়ের খবর পেয়ে মধুপুর থানার অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিমল চন্দ্র পাইনের নেতৃত্বে পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে সে আয়োজন বন্ধ করে দেয়। অভিযানে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৭টি জীবিত ঘোড়া, ৪টি জবাই করা ঘোড়া, জবাই করার অস্ত্র, সরঞ্জামাদি, মাংস সংরক্ষণ উপাদান বরফ, লবণ জব্দ করা হয়।

স্থানীয় যুবক শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, জহিরুল, শাহীন ও বাবুল মিয়া জানান, রাত প্রায় ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশা চালকের মাধ্যমে খবর আসে ঘোড়া ভর্তি দুটি ট্রলি বনের ভেতরে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করে তারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পঁচিশ মাইল বাজার থেকে অভিযান শুরু করা ৭-৮ জন পুলিশ টিমের সঙ্গে তারাও যুক্ত হন। রাত ২টার দিকে চালানো অভিযানের ওই টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা টের পেয়ে সবকিছু ফেলে পালিয়ে যায়।

যুবকরা আরও জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের হোটেল-মোটেলে বিক্রির জন্য ১১টি ঘোড়া জঙ্গলে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪টা জবাই করা হয়, বাকি ৭টি ঘোড়া জবাই করে সব মাংস প্রসেস শেষে সরবরাহ করার প্রস্তুতি চলছিল।

আটক আজাদ মিয়া (৫৫) জানান, ঘোড়ার মাংস কী করা হবে তা তিনি জানেন না। এবারই তিনি ১ হাজার টাকার কন্ট্রাক্টে ঘোড়ার চামড়া ছাড়ানোর কাজে এসেছিলেন।

এসআই বিমল চন্দ্র পাইন জানান, নিঃসন্দেহে ঘটনাটি গর্হিত ও অপরাধমূলক। মামলার ক্ষেত্রে পর্যালোচনা করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।

মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘোড়ার এ মাংস হয়তো গরুর মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি বা অসৎ উদ্দেশে সরবরাহ করার কথা ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *