টাঙ্গাইলে ওএমএস-এর চাল ও আটা কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

অর্থনীতি কৃষি টাঙ্গাইল সদর লাইফ স্টাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে ন্যায্য মূল্যে ওএমএস এর চাল ও আটা কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর হতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত ন্যায্য মূল্যে ওএমএস এর চাল ও আটা কিনতে নারী পুরুষ ভীর জমিয়ে আছে।

 

এখানে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতি কেজি ৩০ টাকা মূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল ও প্রতি কেজি ২৪ টাকা মূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি করে আটা বিক্রয় করা হচ্ছে।

কেবল অতিদরিদ্ররাই নয়, মধ্যবিত্তরাও এখন ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) খাদ্যপণ্যের ক্রেতা হয়ে উঠছে। বাজারের তুলনায় দামে অনেক সস্তা হওয়ায় এখন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্তরা ওএমএস-এর চাল-আটার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওএমএস কর্মসূচির পরিধি বাড়ালে নিম্নবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও নিকট ভবিষ্যতে এর অন্যতম ক্রেতায় পরিণত হবেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা টাঙ্গাইল জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর ওএমএস কর্মসূচির তদারকি আরও জোরদার করেন এবং ওএমএস-এর চাল-আটা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ ও অধিকতর তদারকির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দাখিল করেন। ওএমএস এর চাল-আটা বিক্রয় কার্যক্রমের মনিটরিং করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হলে নির্বিঘ্নে উপকারভোগীগণ চাল-আটা ক্রয় করতে পারবেন মর্মে তারা মনে করেন।

ওএমএস ক্রেতা বেসরকারি চাকুরিজীবী মোতালেব হোসেন বলেন, কম বেতনের চাকরি করি। যেভাবে বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে কম দামে চাল পেলে মন্দ হয় না। তবে জনপ্রতি ১০ কেজি করে দিলে আরো ভালো হতো।

বৈল্লা বাজারের ব্যবসায়ী আল আমীন বলেন, দাম কম বলে এখন অনেক মধ্যবিত্তরাও ওএমএস চাল-আটা কিনছে, আমিও এখান থেকেই চাল কিনে খাই। তবে তিনিও ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার দাবি জানান।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা বলেন, অল্প হলেও ওএমএস এর প্রভাব বাজারে রয়েছে। অতিদরিদ্রদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুরুতে এধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও দিনদিন মধ্যবিত্তরাও এর ক্রেতা হয়ে উঠছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *