
কালিহাতী প্রতিনিধি: কালিহাতীতে ঘরের সিঁধ কেটে খোদেজা বেগম (৫৮) নামে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার, ১৮ মে দুপুরে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাগানবাড়ি উত্তরপাড়া থেকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত খোদেজা বেগম ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত আতোয়ার রহমানের স্ত্রী। এঘটনায় পুলিশ রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, খোদেজা বেগম বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। তার ছেলে আসাদুজ্জামান দু’দিন ধরে তার মাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। পরে শনিবার দুপুরের দিকে আসাদুজ্জামান বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ের মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। একই সঙ্গে পুরাতন স্টাইলে ঘরের সিঁধ কাটা অবস্থায় দেখা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, খোদেজা বেগমের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ১০/১২ বছর আগে মারা গেছেন। খোদেজা বেগম যমুনা সেতু-জামালপুর রেললাইন সংলগ্ন নির্জন বাড়ীতে একাই বসবাস করে আসছিলেন। তার কোনো সন্তান নেই। তার একটি পালিত ছেলে রয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পালিত ছেলে আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৩ মে বাড়ীতে এসে দেখে গেছেন। দুইদিন যাবত মোবাইল ফোনে মাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। শনিবার সকাল ১১ টার দিকে বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ ঘরে সিদকাটা ছিল। মা শয়নকক্ষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ধারণা করছি আমার মাকে হত্যা করা হয়েছে।
কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘরের সিঁধ কেটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘরের ভেতরে কাপড়চোপড় এলোমেলো ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। খোদেজা বেগমকে দুই থেকে তিন দিন আগে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন।