টাঙ্গাইলের ‘জামুর্কীর সন্দেশ’ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো

ইতিহাস ও ঐতিহ্য মির্জাপুর লাইফ স্টাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐতিহ্যবাহী মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কীর সন্দেশ স্বীকৃতি পেয়েছে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে।

বুধবার, ৩০ এপ্রিল বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। এতে খুশি সন্দেশের কারিগর ও স্থানীয়রা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের কাছ থেকে সন্দেশের জিআই নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক। এ ছাড়া মধুপুরের আনারসের জিআই নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কীতে প্রথমে সন্দেশের ব্যবসা শুরু করেন কালিদাস নামের এক ব্যক্তি। এই সন্দেশ স্থানীয়ভাবে ‌‘কালিদাসের সন্দেশ’ হিসেবে প্রসিদ্ধ লাভ করে। গুণগতমান বজায় রাখায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এই সন্দেশের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ভারতের কলকাতাসহ উপমহাদেশে। প্রায় শত বছর ধরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এই সন্দেশ।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার জামুর্কী এলাকায় অবস্থিত এই সন্দেশের দোকান। মহাসড়কের পাশে হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ খুব সহজেই বিশেষ স্বাদের এই সন্দেশ কিনতে পারেন।

কালিদাসের সন্দেশের দোকানটি পরিচালনা করেন কালিদাসের নাতি সমর সাহা। এর আগে তার বাবা দোকানটি পরিচালনা করতেন। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্দেশ ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে।

পাকুল্যা গ্রামের বাসিন্দা তপন কুমার শেঠ বলেন, আমাদের এলাকার পণ্য জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। এই স্বীকৃতিতে বর্তমান সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের চেষ্টায় মির্জাপুরবাসীর চাওয়াকে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা এই এলাকার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *