
ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নেওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগে করা মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান নিজেকে মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বলেন, “এই ব্যস্ত আদালতে এত সময় নিয়ে একটি মামলা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এতে অন্য মামলাগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে। আমি আসলে বিব্রতবোধ করছি।” পরে তিনি মামলাটি বদলি করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিন আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালতে হাজির হন নাসির ও তামিমা। তাদের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুটি আবেদন করেন, যার একটি বাদীপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ সংক্রান্ত। অভিযোগ করা হয়, বিচারাধীন মামলার বিষয়ে মিডিয়ায় মন্তব্য করে তিনি বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলার চেষ্টা করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান পাল্টা অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে এই মামলায় বাদীপক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, যা আইনসম্মত নয়।
এর আগে ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। মামলার বাদী তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান। অভিযোগে বলা হয়, তামিমা তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে বিয়ে করেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে অবৈধ। এতে রাকিব ও তার কন্যার মানসিক বিপর্যয় ঘটে এবং তার চরম মানহানি হয়।
উল্লেখ্য, মামলাটিতে ইতোমধ্যে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মামলাটি এখন নতুন করে সিএমএম আদালতের নির্ধারিত কোর্টে পাঠানো হবে।