কুয়েট শিক্ষার্থীদের গণ-অনশন কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

টাঙ্গাইল সদর শিক্ষা

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)–এ চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

 

বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেটের সম্মুখে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আয়োজিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কুয়েটের চলমান আন্দোলনকে ‘ন্যায়সঙ্গত’ ও ‘সময়োপযোগী’ উল্লেখ করে বলেন, “যেখানে শিক্ষার্থীদের কথা গুরুত্ব পাচ্ছে না, সেখানে ঐক্যই হলো আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

সমাবেশে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, “একজন উপাচার্যের দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু কুয়েটের পরিস্থিতি প্রমাণ করে, সেই দায়িত্ব পালনে ঘাটতি রয়েছে।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “আমরা কুয়েটের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক এক দফা- উপাচার্যের পদত্যাগ সমর্থন করি। অনশনরত শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের নিরবতা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।”

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা কুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন এবং সরকারের প্রতি অবিলম্বে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত কুয়েট। ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবি দিয়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে তাদের একমাত্র দাবি- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ।

এই দাবিতে চলমান আমরণ অনশনে গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়েন চার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অপর দুইজনকে অভিভাবকরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, প্রচণ্ড গরমে (অনুভূত তাপমাত্রা প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তারা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনালাপে কথা বলেন এবং অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তিনি জানান, “সরকার শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে অবগত এবং একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল দ্রুত কুয়েট গিয়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।”

এরই মধ্যে কয়েক দফায় শিক্ষার্থীরা পাঁচটি আবাসিক হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছেন। উপাচার্য অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *