
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি জুড়ে, আর এবার সেই ধাক্কা লেগেছে ক্রীড়াঙ্গনেও। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক গেমস এখন পড়েছে অনিশ্চয়তার মুখে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়াবাজার যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর শত শত কোটি ডলারের ক্রীড়াসামগ্রী আমদানি করে থাকে। ২০২৪ সালে ক্রীড়াপণ্যে আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১০৩০ কোটি ডলার, যার মধ্যে ৬২৭ কোটিই এসেছে চীন থেকে। এই পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ফুটওয়্যার, সাঁতারের পোশাক, বল, র্যাকেটসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সামগ্রী, যা মূলত চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ায় তৈরি হয়।
ট্রাম্পের নতুন ট্যারিফে সবচেয়ে বেশি শিকার এশিয়ার দেশগুলো। কম্বোডিয়ায় ৪৯%, ভিয়েতনামে ৪৬%, চীনে ৩৪% এবং ইন্দোনেশিয়ায় ৩২% হারে পাল্টা শুল্ক বসিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে এসব দেশ থেকে আমদানি করা ক্রীড়াপণ্যের দাম যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে যাবে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে স্পন্সর, নির্মাণ ব্যয় এবং ক্রীড়া আয়োজনের বাজেটে।
এদিকে এরই মধ্যে ক্রীড়া ব্র্যান্ডগুলোর শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, আন্ডারআর্মারের শেয়ারের দরপতন হয়েছে ১৮.২৫%, নাইকি ১৪.৪%, পুমা ১১.৮% এবং অ্যাডিডাস ১১.৭%।
এই সংকটে আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে ট্রাম্পকেই। কারণ, ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য গঠিত হোয়াইট হাউস টাস্কফোর্সের প্রধান তিনিই। অনেকেই মনে করছেন, আয়োজক দেশ হিসেবে শুল্ক-সৃষ্ট সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেবেন ট্রাম্প, যাতে এই দুটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসর নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।