ইউটিউবেও বাজিমাত করল ‘ইত্যাদি’

বিনোদন

ঈদের সঙ্গে নব্বই দশক থেকেই জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের দুটি অনুষ্ঠান—হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ এবং ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দমেলা’। সময়ের ব্যবধানে ‘আনন্দমেলা’ তার আগের জৌলুশ হারালেও ‘ইত্যাদি’ এখনো একই জনপ্রিয়তায় টিকে আছে। বলা যায়, ঈদ আর ‘ইত্যাদি’ যেন একে অপরের পরিপূরক।

ঈদের ছুটিতে নানা বয়স, শ্রেণি ও পেশার মানুষের জন্য আনন্দের উৎস হয়ে আসে ‘ইত্যাদি’। বছরের পর বছর ধরে ঈদের পরদিন এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য দর্শকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। চিরচেনা সেই সূচনাসংগীত যেন এখনও আনন্দের শিহরণ জাগায়। প্রবীণ দর্শকের nostalgic হয়ে ওঠার পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের মাঝেও এর আলাদা কদর রয়েছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

এবারের ঈদেও ‘ইত্যাদি’ প্রচারের পর দর্শকদের অভাবনীয় সাড়া মিলেছে। বিটিভিতে প্রচারের পর ১ এপ্রিল ফাগুন অডিও ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি আপলোড হয়। শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ভিডিওটির ভিউ ছাড়িয়ে গেছে ৫১ লাখ, রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ের ৬ নম্বরে। এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের এই পর্বে এসেছে এক লাখের বেশি রিঅ্যাক্ট, মন্তব্য জমা হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৫টিরও বেশি।

হানিফ সংকেত রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ‘ইত্যাদি’ এবারও দর্শকদের হৃদয় জয় করেছে। ইউটিউবে মন্তব্য পড়ে স্পষ্ট বোঝা যায়, ‘ইত্যাদি’ শুধু বিনোদনের অনুষ্ঠান নয়, অনেকের স্মৃতির অংশ।

এক দর্শক শরফুদ্দিন লেখেন, “নব্বই দশকে যখন ইত্যাদি হতো, তখন আমাদের এলাকায় কারেন্ট ছিল না; ব্যাটারি ভাড়া করে গ্রামের লোকজন এক জায়গায় বসে ইত্যাদি দেখতাম, কত যে আনন্দ লাগত!” ওমর ফারুকের মন্তব্য, “আমরা বুড়ো হয়ে গেলাম, কিন্তু ইত্যাদি চিরসবুজ রয়ে গেল।” তারেক সালাম লেখেন, “ইত্যাদি দেখলে ছোটবেলাটা মনে পড়ে যায়। বিটিভি থেকে এখন ইউটিউবে দেখছি।”

বাংলাদেশ ছাড়িয়ে ভারতীয় দর্শকরাও এই অনুষ্ঠান পছন্দ করেন। দীপক সিনহা নামের একজন ভারতীয় বাঙালি মন্তব্য করেছেন, “ইত্যাদি এত ভালো লাগে, বলে বোঝাতে পারব না, মনে হয় ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে এ প্রোগ্রামটি।”

প্রবাসী দর্শকরাও জানিয়েছেন তাঁদের অনুভূতির কথা। অনেকেই মামা–ভাগনে, নানি–নাতি অংশগুলো আরও নিয়মিত রাখার অনুরোধ করেছেন। মন্তব্যগুলো দেখে স্পষ্ট, ‘ইত্যাদি’র প্রতি ভালোবাসা আজও অটুট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *