
ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ঈদ যাত্রা উপলক্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে এখন নির্বিঘ্নে চলছে যানবাহন। যমুনা সেতুর ওপর গাড়ি বিকল ও দুর্ঘটনার কারণে গতকাল শনিবার রাতে সেতুর পূর্ব প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেতুর ঢাকাগামী লেন বন্ধ রেখে উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করা হয়। এতে আজ রোববার সকালে যানজটের নিরসন হয়। অন্যদিকে, মহাসড়কে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও ময়মনসিংহ লিংক রোডে সেনাবাহিনীর টহল দেখা যায়।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। রাতে সেতুর ওপর তিনটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে এবং দুটি গাড়ি বিকল হয়। এ কারণে গভীর রাত থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়। এই যানজট ভোরে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হয়। পরে সেতুর ঢাকাগামী যানবাহন সিরাজগঞ্জে আটকে দেওয়া হয়। উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করানো হয়। এতে সকাল নয়টার দিকে যানজট নিরসন হয়। তারপর থেকে মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকলেও কোথাও যানজট নেই।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে ৯টি করে মোট ১৮ বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। এরমধ্যে দুই পাশে দুটি বুথ দিয়ে মোটরসাইকেলের জন্য পৃথক বুথে টোল নেওয়া হচ্ছে।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ রুবেল বলেন, শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে অন্তত ১২ বার সেতুর টোল আদায় বন্ধ ছিল। যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা।
এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২৯ হাজার ২৮৮টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় ১ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।
মহাসড়কে সেনাবাহিনীর টহলে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট নূর বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যেন কোনো আপত্তিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সেনাবাহিনীর টহল জেরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি রমজানে বাজার মনিটরিং, শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থা, বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ বেশ কিছু সচেতনামূলক কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি।