
হামজা চৌধুরীর অপেক্ষায় এখন পুরো বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি ঢাকায় না এলেও তাঁর আগমন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। আগামীকাল শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে দুপুরে ম্যাচ খেলে রাতেই বাংলাদেশের বিমান ধরবেন হামজা। পরদিন সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন এই মিডফিল্ডার।
এর আগেও বাংলাদেশে এসেছেন হামজা, তবে এবারের আগমন বিশেষ। লাল-সবুজের জার্সিতে যে প্রথমবার মাঠ মাতাতে আসছেন তিনি। ইংলিশ ফুটবলে বেড়ে ওঠা এই তারকার আগমনে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
সোমবার সিলেটে নেমে সরাসরি হবিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে যাবেন হামজা। ইংল্যান্ড থেকে তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে স্ত্রী, তিন সন্তানসহ ৯ জন আসছেন। ঢাকা থেকে শিলং সফরে হামজার সঙ্গী হবেন অন্তত ১৬ থেকে ১৭ জন। সিলেটে হামজাকে বরণ করতে বিমানবন্দরে থাকবেন বাফুফের কয়েকজন কার্যনির্বাহী সদস্য। তাঁরাই হামজাকে ঢাকায় নিয়ে আসবেন। ১৭ মার্চ সোমবার হামজা রাত কাটাবেন গ্রামের বাড়িতে। ১৮ মার্চ পুরো দিন সেখানেই তাঁর থাকার কথা রয়েছে। হামজা চাইলে সেদিন রাতও থাকতে পারেন হবিগঞ্জে কিংবা দিনের শেষ ফ্লাইট ধরে আসতে পারেন ঢাকায়। এটা পুরোটাই হামজার ওপর নির্ভর করছে, বলেছেন বাফুফে সহসভাপতি ফাহাদ করিম, ‘তিনি ১৮ তারিখেও আসতে পারেন, আবার ১৯ তারিখ সকালেও। এটা পুরোপুরি তাঁর ওপর নির্ভর করছে।
এ ছাড়া নিরাপত্তার ব্যাপারে এরই মধ্যে আমরা সিলেট ও হবিগঞ্জের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সব চূড়ান্ত করে রেখেছি।’ঢাকায় এসেও ব্যস্ত সময় পার করতে হবে হামজাকে। ১৯ মার্চ দুপুরে টিম হোটেলে অফিশিয়াল প্রেস কনফারেন্সে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন তিনি। তার আগে সকালে দলীয় ফটোসেশন হবে। এরপর বিকেল অথবা সন্ধ্যায় অনুশীলনে নামার কথাও রয়েছে হামজার।
দলের অনুশীলনের ব্যাপারটি অবশ্য নির্ভর করছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ওপর। ফাহাদ করিম এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমরা তো চাই হামজা এখানে এক দিন অনুশীলন করুন। এখন ক্যাম্প চলাকালীন সব সিদ্ধান্ত তো কোচের। অনুশীলন হবে, নাকি জিম সেশন হবে সেটা কোচ নির্ধারণ করবেন।’ ইংল্যান্ড থেকে ব্যক্তিগত ফিজিও নিয়ে আসার কথা জানিয়েছিলেন হামজা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিজিও আনছেন না বলেই জানিয়েছেন ফাহাদ।