
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি মালিক সমিতির ৭ দফা দাবি না মানলে আগামী ২৫ মার্চ থেকে পরবর্তী ১৫ দিন সারা দেশে ইট বিক্রি বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরেও দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী বছর থেকে দেশের সকল ইটভাটার ইট উৎপাদন বন্ধের হুশিয়ারী দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি মালিক সমিতির নেতারা।
১১ মার্চ, মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান। এর আগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ইট ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা জেলা সদর এলাকায় একত্রিত হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কাযালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি মালিক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব শাজাহান সরকার, টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন ধলা, মধুপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব হোসেন, কালিহাতী উপজেলা শাখার সভাপতি শহীদ মিয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ছানোয়ার হোসেন খান, মির্জাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও সদস্য জুলহাস মিয়া। বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনায় ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সিদ্দিকী।
এদিকে সমাবেশে মালিক সমিতির নেতারা বলেন, এই শিল্পের সাথে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। সবকিছুই মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও এই খাতের মালিকদের প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক লোন রয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোনের টাকা অনাদায়ী থেকে যাবে। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার।
উল্লেখ্য, ঝিকঝ্যাক ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য বাংলাদেশের ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির ৭ দফার দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। দাবিগুলো হলো- ১. জিগজ্যাগ ইটভাটার জন্য দূরত্ব সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা;
২. ইটভাটায় প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান স্থগিত করা;
৩. সরকার যদি কোনো ইটভাটা বন্ধ করে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে;
৪. মাটি কাটার অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল করতে হবে;
৫. পরিবেশগত ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়নের ক্ষেত্রে মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে;
৬. ইটভাটাকে শিল্পখাত হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে; এবং ৭. ইটভাটা পরিচালনার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও পূূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।