
সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুরে ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে ৭ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার হাসনগঞ্জ বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশকে এ সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের মেয়ে ফাতেমা আক্তার। এ সময় একপাশে নিহতের স্ত্রী বাছাতন বেগম অপর পাশে নিহতের মা সালেহা বেগম কান্না করছিলেন। সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মেজবাহ উদ্দিন, হাসনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, স্থানীয় মাতব্বর বাবলু খানসহ শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত দেড় মাসেও পুলিশ এ হত্যাকান্ডের কোনো রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত ২২ জানুয়ারি রাতে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের চকচকিয়া শ্রীপুর গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম (৫০) দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। এর পরদিন সকালে একটি লেবু বাগান থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই নিহতের স্ত্রী বাছাতন বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও বাদীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুন হওয়ার ৭ দিন পর পুলিশ ওই গ্রামের তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে চারদিনের রিমান্ডে আনেন। তাদের কাছ থেকেও পুলিশ কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। নিহতের মামা সিদ্দিক হোসেন জানান, পুলিশ আন্তরিক হলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পুলিশ কেন পারছে না, তা বুঝে উঠতে পারছি না।
মামলার বাদী বাছাতন বেগম বলেন, পুলিশের কর্মকান্ডে আমরা হতাশ। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ রীতিমতো অলসতা করছে। আমরা পুলিশকে সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছি। এরপর আমরা মামলার তদন্ত করতে পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এসপি মহোদয়ের কাছে আবেদন করব।
এ প্রসঙ্গে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। এটা ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। আমরা ধীরে ধীরে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আগাচ্ছি। আশা করা যাচ্ছে শিগগিরই মামলার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে।’ পরিবারের পক্ষ থেকে সময় বেধে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, বাদীপক্ষ চাইলে পুলিশের যে কোন সংস্থা দিয়ে তদন্ত করাতে পারবে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।