
ম্যাচটা তাঁর দল জিততে পারেনি। গতকাল রাতে সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে আল শাবাবের সঙ্গে ২–২ ড্র করেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল আল নাসর। দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেছেন ৪০ বছর বয়সী পর্তুগিজ কিংবদন্তি। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে করা গোলের মাধ্যমে অনন্য এক কীর্তি ছুঁয়েছেন রোনালদো। আল শাবাবের বিপক্ষে গোলটি তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারের ৯২৬তম। এর মধ্যে অর্ধেক, অর্থ্যাৎ ৪৬৩টি গোল করেছেন বয়স ৩০ পেরোনোর পর। বাকি অর্ধেক ৩০ পূর্ণ হওয়ার আগে।
ফুটবল যে স্রেফ তরুণদের খেলা নয়, সেটিই যেন ম্যাচের পর ম্যাচে দেখিয়ে চলেছেন ‘সিআরসেভেন’। সাধারণত, বেশির ভাগ ফুটবলারের ক্যারিয়ারের মূল সময় আসে ২৫ পার হওয়ার পর। তবে সেটি আবার ৩৫ পেরোতেই ভাটির দিকে চলে যায়। কিন্তু গত মাসে ৪০ পূর্ণ করা রোনালদো যেন অদম্য। ২০২৩ সালে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত করেছেন ৯০ গোল। যে গতিতে এগোচ্ছেন, এক শ হতে বেশি দিন লাগার কথা নয়।
রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। এরমধ্যে তিনটির হয়ে গোল সংখ্যা তিন অঙ্কের—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ১৪৫, রিয়াল মাদ্রিদে ৪৫০, জুভেন্টাসে ১০১। আল নাসর বাদে এক শ গোল নেই শুধু স্পোর্তিং লিসবনে, যদিও পর্তুগিজ ক্লাবটির হয়ে খেলেছেনই মাত্র ৩১ ম্যাচ। মেসির অনুপস্থিতি কি আর্জেন্টিনার জন্য বিপদের আগাম সংকেত রোনালদো ৩০ পেরোনোর আগে খেলেছেন লিসবন, ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদে। আর ৩০ পেরোনোর পর রিয়াল, জুভেন্টাস, ইউনাইটেড ও আল নাসরে। বলাবাহুল্য, বয়স ৩০ পেরোনোর পর রোনালদোর চেয়ে বেশি গোল আর কেউ করেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪১ গোল করেছেন ব্রাজিলের রোমারিও।
বর্তমানে ক্যারিয়ার–গোলসংখ্যায় রোনালদোর সঙ্গে যাঁর নাম আলোচনায় ওঠে, সেই লিওনেল মেসির মোট গোল ৮৫২। এর মধ্যে ৩৭ বছর বয়সী ৮ মাস বয়সী মেসি ৩০ পেরোনোর পর করেছেন ২৮৭ গোল, রোনালদোর চেয়ে ১৭৬টি কম।