ঘাটাইলে শিক্ষাসফরের বাসে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জন কারাগারে

অপরাধ আইন আদালত ঘাটাইল

ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইল উপজেলায় শিক্ষাসফরের চারটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

কারাগারে পাঠানো চারজন হলেন- ঘাটাইল উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের মো. আয়নাল হক (৩৭), মো. ফজলুল (৪১), আয়নাল হক (৩৭) ও একই উপজেলার মালিরচালা পাহাড়িয়া পাড়া গ্রামের নাসির (৩৫)।

 

ডাকাতির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান বলেন, গ্রেপ্তার চারজনকে আজ দুপুরে ঘাটাইল আমলি আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানায়, বুধবার তাঁদের গ্রেপ্তারের সময় একাধিক মুঠোফোন, টর্চলাইট, রামদা, হাতুড়ি, সোনার আংটি ও টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আয়নাল হকের বিরুদ্ধে দুটি চুরিসহ তিনটি এবং নাসিরের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতিসহ তিনটি মামলা আছে।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা চারটি বাস নিয়ে গত মঙ্গলবার ভোরে নাটোরের একটি পার্কে শিক্ষাসফরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদিঘি সড়কের লক্ষণের বাধা এলাকায় পৌঁছায় বাসগুলো। সেখানে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলা থাকায় বাসগুলো থেমে যায়। পরে বাসে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুঠোফোন, টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে ডাকাতেরা। একপর্যায়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পাশের সাগরদিঘি তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় ডাকাতেরা পালিয়ে যান। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা শিক্ষাসফরে নাটোর চলে যান।

নাটোরে শিক্ষাসফর শেষে ঘাটাইল থানায় এসে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মামলা করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ডাকাতেরা ১০টি মুঠোফোন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা লুণ্ঠন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, ঘাটাইল থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের কাজ করছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। দ্রুত ঘটনার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *