
নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কারের জন্য বেশি সময় ব্যয় না করে দেশের মানুষ এখন ভোট দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমরা ভোট দিতে চাই, অতিদ্রুত এই সরকারকে ভোটের নির্বাচন দিতে হবে, আমরা সংস্কার নিয়ে আর ছয় মাস বছর বসে থাকতে চাই না। যেহেতু এই সরকার অর্থনৈতিকভাবে জোগান দিতে পারছে না, সেক্ষেত্রে নির্বাচন দিতে হবে।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপির আয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ বিভিন্ন জনদাবীতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকার অর্থনৈতিকভাবে জোগান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সামনে পবিত্র রমজান মাস। নিত্যপণ্যের দাম বেশি, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিস্থিতি ঠিক হয়নি। এখনো কেন আওয়ামী লীগের দোসররা বাইরে? আর তাই আমরা বলতে পারি এই সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সারা দেশে আমাদের ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল হাসিনা সরকার। সারা দেশে ছাত্ররা যে আগুন দিয়েছিল, সেটা আমরা শুরু করেছিলাম। তার পরই এই সরকার গঠন হয়েছে। আজকে যারা সরকার, তারা যদি সেই হাসিনার মতো হয়- তা হলে আমরা সহ্য করব না। বিগত দিনে তিনটি নির্বাচন হয়েছে, সেখানে কেউ ভোট দিতে পারেননি। এই সরকার যেন অতিদ্রুত জনগণের মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে সুষ্ঠুভাবে একটি সঠিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, মুক্ত বাংলাদেশের জন্য সারা দেশের মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করেছে। শুধু বিএনপির দাবি নয়, জনগণের দাবি ছিল গণতান্ত্রিক সরকার। আর গণতন্ত্রিক সরকার করতে হলে একটি জাতীয় নির্বাচনের দরকার। আর তাই নির্বাচন প্রয়োজন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, জাতীয় পাঠ্যবইয়ে এই খুনি হাসিনার অত্যাচার-নিপীড়িত সময়ের কথা উল্লেখ করতে হবে। যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করেন আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছে তাদের সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় সরকার গঠন করব। বিএনপির অনেক নেতা গুম, খুন হয়েছেন। যারা এই হত্যা মামলায় জড়িত, সেই সমস্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এমএ বাতেন প্রমুখ।