
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নারী সমন্বয়ক ও জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফাতেমা রহমান বীথি হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বীথির সঙ্গে তার দুই সহকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে শহরের ভিক্টোরিয়া ফুডজোনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হেনস্তাকারীদের মধ্যে অমিয় ও মুন্নার নাম জানা গেলেও অন্য দুইজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা গেছে, মোটরসাইকেলের ওপর বসা দুই যুবক। এক পর্যায়ে সমন্বয়ক বীথির সঙ্গে তর্কাতর্কি করছে ওই দুই যুবক। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় বীথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি লেখা প্রকাশ করে লেখেন- জুলাই আন্দোলন চলাকালে দিন রাত এক করে যখন ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের জন্য লড়েছি, সমগ্র টাঙ্গাইলবাসীর সমর্থন আমাকে প্রতিনিয়ত লড়াই করার সাহস যুগিয়েছে। সে সময় দিন রাত আওয়ামী, যুব ও ছাত্রলীগের হুমকি ধামকি নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল। মানুষের ভালোবাসায় সে সব হুমকি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে টাঙ্গাইলবাসীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি।
আগস্টে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল আওয়ামী লীগের বাংলাদেশ থেকে এই দেশ এখন সবার বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে। তবে কখনো কখনো কিছু ঘটনা আমাকে হতাশ করে।
আজ রাত আনুমানিক ৯:১৫ এর দিকের ঘটনা। বাসায় ফেরার পথে ৪ টা ছেলে দ্বারা মানসিক হেনস্তার স্বীকার হলাম। আশেপাশে ৫০/৬০ জন তামাশা দেখছিল। আমি যখন প্রতিবাদ করে ওদের আটকাতে চাইলাম, হতাশার সাথে লক্ষ্য করলাম অনেকে ছেলেগুলোর পক্ষ নিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করলো! আমাকে রিকুয়েষ্ট করতে থাকলো ছেলেগুলোকে ছেড়ে দেয়ার জন্য! তাদের অনুরোধে ছেড়ে দিলাম। তবে এর মাঝেই পুলিশকে কল দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে।
ফাতেমা রহমান বীথি আরো জানান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ওই উত্যক্তকারীরা তাদের অনুসরণ করছিল। সেখান থেকে ভিক্টোরিয়া ফুডজোনে আসার পর তারা উত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকে। পরে উত্যক্তকারীদের প্রতিবাদ করলে তারা খারাপ আচরণ করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ এসে সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। তিনি এ ঘটনায় উত্যক্তকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পায়নি। পরে সিসি টিভির ফুটেজ উদ্ধার করেছে। আর এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আমরা অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।