নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৃহৎ যমুনা রেলওয়ে সেতুতে সর্বোচ্চ ১২০ কি. মি. গতিতে সফলভাবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে। সোমবার, ৬ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে চারটি বগি-সংবলিত একটি পর্যবেক্ষক ট্রেন যমুনার পূর্বপাড় ইব্রাহিমবাদ থেকে ছেড়ে যায়। এতে ট্রেনটি যমুনা রেল সেতু পার হতে সময় লেগেছে ২ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড।
গভর্মেন্টে ইন্সপেক্টর অব বাংলাদেশের উপস্থিতিতে এ পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। পর্যবেক্ষণকালে ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটেছিল। পরে পশ্চিমপাড়ের সয়দাবাদে ২০ মিনিট অবস্থানের পর পুনরায় ট্রেনটি সেতুর পূর্বপাড়ে চলে আসে। চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সেতু-সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় বাংলাদেশের রেলওয়ের গভর্মেন্টের ইনস্পেক্টর ফরিদ আহমেদ, সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান ও প্রজেক্ট ম্যানেজার মাক হ্যাভিসহ দেশি-বিদেশি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গতকাল রবিবার এ পর্যবেক্ষক দুটি ট্রেন দিয়ে পরীক্ষামূলক চলাচল করান। এই রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আবু ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান জানান, গত ২৬ নভেম্বর রেলওয়ে সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়। আজ পরীক্ষামূলক ট্রেনগুলো প্রথমে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, পর্যায়ক্রমে ৮০ কিলোমিটার, ৯০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটা, ১১০ কিলোমিটার ও সর্বশেষে বেলা সাড়ে ৩টায় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে চালানো হয়।
তিনি আরও জানান, এই পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর মধ্য দিয়ে ভুলত্রুটি চিহ্নিত করার জন্য কাজ অব্যাহত থাকবে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই রেলসেতুটি উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে, রেলসেতুর সিগন্যালে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান জানান, দ্রুততম সময়ে এ রেলসেতুতে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগের নতুন মাইলফলক উন্মোচিত হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬-এ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। সেতুটির ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্ট ভেঞ্চার। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে সময়সীমা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।