হেমায়েত হোসেন হিমু’র কবিতা: সীমাবদ্ধতা

টাঙ্গাইল সদর শিল্প-সাহিত্য

সীমাবদ্ধতা

বিষণ্ন দুপুরের উনুনে শৈশব স্বপ্ন ভাজি একমনে
স্বপ্ন মেরামত করি চিন্তা ধৈর্য আর সাহস দিয়ে
পরিবারের মুঠোয় পুরে রেখে ফুটিয়েছি বাগানের ফুল
জীবনের ভগ্নাংশে মিশে আছে শ্রম ঘাম ভালোবাসা
হরেক তকমা দিয়ে ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো করা মন
জোড়া দিতে হয় পরিবার সমাজ রাষ্ট্র ব্যবস্থা।
সূর্যের তাপে পোড়ে শরীরের বাহ্যিক অংশ আর
তেতো কথায় পোড়ে ভেতরাংশ; জ্বলে তুষের আগুনে
দূরদর্শী স্বপ্নে ভালোবাসায় তৃপ্ত নয় মন ও মনন-
যুগলবন্দী হতে চেয়ে পারিনি বলে অসুখী নই
ইউক্যালিপটাস ছায়ায় সেখানে অনায়াসে স্বর্গীয় বাতাস
খেলে আমাকে নিয়ে ছায়াহীন, মায়াহীন দুটি বৃক্ষ হৃদয়ে
একতারার তার কম্পন ছড়িয়ে একসাথে বেজে চলে
ডালপালা ছেঁটে ছোটো হলেও বৃক্ষের ছায়ায় থাকতে চাই।
আত্মজ -আত্মজার ভালোবাসায় পেয়ালা পূর্ণ হলেও
তবু পিপাসা পায়, পিপাসা মেটে না কারও কখনো
তা জানি পরার্থপরতায়; তার পাত্র ক্ষুদ্র না বিশাল জানি না
শুধু আজন্ম জানি- পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত
কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়; অর্থের কষ্ট কিংবা মানসিক
কিংবা শারিরীক অসম্পূর্ণতায় থাকে আবদ্ধ চিরকাল
সীমাবদ্ধতা এসে সীমান্ত রেখা টানে জীবনের মাঝখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *