নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে রাতের আঁধারে এক্সক্যাভেটর (ভেকু) দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে ওই ম্যুরালের মাঝে ছিল বড় আকারের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আর দুই পাশে ছিল জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি।
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে স্থাপিত এসব ম্যুরালগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে মুক্তমঞ্চের পাশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের দুই পাশ আংশিক ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় পাশে থাকা জাতীয় চার নেতার ম্যুরালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার সোমবার রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে মুক্তমঞ্চের পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও মুহাম্মদ মনসুর আলীর ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে সমান করে দেওয়া হয়েছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ‘কিছু ব্যক্তি’ এক্সক্যাভেটর (ভেকু) ব্যবহার করে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে।”
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহাম্মেদ বলছেন, তারা বিষয়টি জানেন না। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এ ঘটনার কোনো তথ্য নেই। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। ঘটনাটি জেনে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।”
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক-এর বক্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী মোবাইল রিসিভ করে বলেন, ‘পৌরসভার ম্যুরালের বিষয়ে ডিসি স্যার বক্তব্য দিতে পারবেন না। এটা আমার মনে হয় পৌরসভার দায়িত্বে যারা আছেন, ওনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ম্যুরাল তো সব জায়গাতেই ভাঙা হয়েছে, এটা তো সবাই জানে। সব জায়গার ম্যুরালই ক্ষতিগ্রস্ত বা ভাঙা হয়েছে। আপনি একটু পৌরসভায় কথা বলেন।’
টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক (উপসচিব) মো. শিহাব রায়হান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ম্যুরালটি পৌরসভা থেকে ভাঙা হয়নি। এটি জেলা পরিষদ থেকে তৈরি করা হয়েছিল।’