বাসাইলে মায়ের বিরুদ্ধে শিশু সন্তানকে হত্যার অভিযোগ

অপরাধ আইন আদালত বাসাইল

বাসাইল প্রতিনিধি: বাসাইলে পারিবারিক কলহের জেরে মোহাম্মদ আলী (২) নামের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে বাসাইল পৌর এলাকার পূর্ব মধ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু মোহাম্মদ আলী (২) বাসাইল পৌর এলাকার পূর্ব মধ্যপাড়ার অটোরিকশাচালক ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত মা নাম হিরা আক্তার (৩০) জেলার মির্জাপুর উপজেলার আদাবাড়ী গ্রামের হারু মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে অটোরিকশাচালক ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে হিরা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। এরমধ্যে তাদের ঘরে দুই সন্তানের জন্ম হয়। মাঝে মধ্যেই পারিবারিক কলহের জেরে হিরা আক্তার তার বাবার বাড়িতে চলে যেতেন। শুক্রবার ভোরের দিকে প্রকৃতির ডাকের কথা বলে হিরা আক্তার তার দুই বছরের শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঘরের বাইরে যান। বেশ কিছুক্ষণ পর সন্তানকে ছাড়াই ঘরে ফেরেন তিনি। এ সময় হিরার স্বামী ইব্রাহিম সন্তানকে না পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করেন। পরে তিনি তার স্বামীকে নিয়ে পুকুর পাড়ে যান। সে সময় শিশু সন্তানকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান ইব্রাহিম। পরে দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হিরা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।

হিরা বেগম বলেন, ‘এ সময় আমার হিতাহিত কোনো জ্ঞান ছিল না। কীভাবে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারিনি’।

বাবা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলহ চলছিল। স্ত্রীর আগে আরও দুইবার বিয়ে হয়েছিল। মাঝে মধ্যেই স্ত্রী ঝগড়া করে বাবার বাড়িতে চলে যেত। শুক্রবার রাত সোয়া ৩ টার দিকে শিশু সন্তান মোহাম্মদকে কোলে নিয়ে স্ত্রী বাইরে যায়। কিছুক্ষণ পর সে একাই ঘরে ফিরে আসে। এ সময় সন্তানের কথা জিজ্ঞেস করলে সে জানায় সন্তান আছে। পরে ঝগড়া করলে স্ত্রী আমাকে নিয়ে পুকুর পাড়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি সন্তান পড়ে আছে। মোহাম্মদকে তার মা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে এটা হত্যা মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির মা হিরা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *