গোপালপুর প্রতিনিধি: গোপালপুরে নেশাদ্রব্য খাইয়ে দরজা ভেঙে ৪ গ্রামে সঙ্ঘবদ্ধ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার, ১১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়গুলো সর্বসাধারণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। রাত জেগে এলাকায় পাহারা বসানোর চেষ্টা চলছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগদা শিমলা ইউনিয়নের খরুরিয়া গ্রামের মৃত আঃ মান্নানের ছেলে ও সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরানি আকবর হোসেনের বাড়িতে নেশাদ্রব্য খাইয়ে দরজা ভেঙে নিজের জমানো ৩ লাখ টাকা, স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ১৫ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালংকার চুরি করে।
একই গ্রামের আ. খালেকের পুত্র আফজালের বাড়িতে নেশাদ্রব্য খাইয়ে দরজা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে। একই গ্রামের আব্দুস সামাদ বাঙালির পুত্র রমজান আলীর মুদির দোকানে তালা ভেঙে ঢোকার সময় দেখে ফেললে তাৎক্ষণিক চোর পালিয়ে যায়। খামার শিমলা গ্রামের মৃত হজরত আলীর পুত্র নুরুল ইসলাম নুরুর ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান শিকল কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। একই গ্রামের মৃত মোস্তফার মেয়ে কামরুন্নাহার মিতুর বাড়িতেও রাতে খাবারে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে রাখে; কিন্তু বাড়ির কেউ রাতের খাবার খায়নি। সকালে ওই খাবার খেয়ে বাড়িতে থাকা ৪ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাদের ২ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর রাতে সাত্তারকান্দি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মফিজউদ্দিনের মোটরের ট্রান্সমিটার চুরি হয়। ওই রাতে বড়ামা গ্রামের ছাদরুল উল্লাহর পুত্র ও গোপালপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি অটল শরিয়ত উল্লাহর খালি বাড়িতে তালাবদ্ধ ঘরে গ্রিল ভেঙে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে রেখে যায়।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মামুন ভুঁইয়া বলেন, সবাইতো অভিযোগ দেয় না, কয়টি চুরির অভিযোগ আছে দেখতে হবে। রাতে টহল বাড়ানো হয়েছে, গতরাতে আমি খরুরিয়ায় গিয়েছিলাম, গ্রামবাসীর সাথে কথাবার্তা বলেছি রাত ২টা পর্যন্ত ছিলাম।