নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্যা ইনফোর্সমেন্ট অব হিউম্যান রাইটস এর উদ্যোগে “মানব পাচার প্রতিরোধে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিকতা ও করণীয়” বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউএসএইড এর অর্থায়নে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর সার্বিক সহযোগিতায় ৩০ নভেম্বর শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বরুহা এলাকায় ব্যুরো ইন্সটিটিউট অব ইনোভেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট-এর কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ লায়লা শারমীন। সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমেলিয়া সিরাজাম, জেলা বার সমিতির সভাপতি এ কে এম শামীমুল আক্তার, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এফএসটিআইপি-এর প্রধান মিস সুসান স্ট্যাম্পার, সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার কাজী ফারহাবী রহমান, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোজ্জামেল হক।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের অভাব আর উন্নত জীবনের হাতছানি-এ সব কারনেই নারী-পুরুষ ও শিশু পাচার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রেম, বিয়ে কিংবা বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এধরণের ঘটনাগুলো ঘটে। সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র নারীদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। পাচারের কাজে শুরু থেকে শেষ পর্ষন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক ব্যক্তি এই কাজের সাথে জড়িত থাকে। জেলায় বর্তমানে ১৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে অবৈধ পথে মানুষকে বিদেশে চাকুরীর জন্য যাওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে হবে। সেই সাথে আইন শৃঙ্খলার আরো উন্নতি ঘটিয়ে নিশ্চিত জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি করতে হবে। এছাড়া মানব পাচার মামলায় ভিকটিমরা কিভাবে সঠিক ও ন্যায় বিচার পাবে এবং এ মামলাগুলোতে যে সকল প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় তা থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সে বিষয়গুলোর উপর আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পযার্য়ের সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, আদালতের বিভিন্ন পযার্য়ের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।