
সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুরে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক শিক্ষক (৫৫)।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের দাড়িপাকা গ্রামে নিজ বাসার রান্নাঘর থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের মেম্বার আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তার নাম নূরুল ইসলাম (৬০)। তিনি দাড়িপাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
নিহত শিক্ষকের মেয়ের ভাষ্য, ‘গত কয়েক মাস ধরে স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয় কয়েকজন আমার বাবার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে টাকা দাবি করছিলেন। কিন্তু আমার বাবা অস্বীকৃতি জানালে তারা জানান, বাবাকে স্কুলে নানাভাবে হেনস্তা করা হবে। আমার বাবার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এলাকাবাসী জানান, নূরুল ইসলাম একজন ভালোমানের শিক্ষক ছিলেন। তিনি সহজ-সরল মানুষ। সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। শিক্ষক হিসাবে তার সুনাম রয়েছে। মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরেই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, নূরুল ইসলাম ২৬ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে এনে ২৭ আগস্ট স্কুল আঙ্গিনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম চলমান ছিল।
উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতা ইব্রাহিম খলিল বলেন, নূরুল ইসলামের আত্মহননের প্ররোচনার নেপথ্যে যারা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, মরদেহ সুরতহাল করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের খুব শিগগির গ্রেফতার করা হবে।