টাঙ্গাইলে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা চেষ্টা ও লুটপাট ঘটনার দ্রুত বিচার দাবীতে নারী উদ্যোক্তার সংবাদ সম্মেলন

অপরাধ আইন আদালত টাঙ্গাইল সদর মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল শহরে এক নারী উদ্যোক্তাকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা চেষ্টা ও তার বাসা থেকে নগদ অর্থসহ লুটপাটের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে ওই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও সুষ্ঠ বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ওই নারী উদ্যোক্তা।

 

২ নভেম্বর, শনিবার সকাল ১১টায় সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই নারীর স্বামী মেহেদী হাসান সাজু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শহরের সাবালিয়া এলাকায় নাদিয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নামে তারা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সেই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে থ্রি-পিস সরবরাহের কথা বলার সূত্র ধরে আমার স্ত্রীর পূর্ব পরিচিত সুব্রত পরবর্তীতে আশিষ নামের এক ব্যক্তির সাথে মোবাইলে কথা বলিয়ে দেয়। থ্রি-পিস সরবারহের প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে তার স্ত্রীর সাথে প্রায় ৩/৪ বার তার সাথে মোবাইলে কথা হয়।

তিনি বলেন, গত ১৯ অক্টোবর সকালে আশিষ ফোন করে আমার স্ত্রীকে জানান তিনি দোকানে থ্রি-পিস সরবরাহ করতে চান। তখন তাকে দোকানে আসতে বলা হয়। এদিকে ডায়াবেটিকের রোগী আমার স্ত্রী বাসায় গিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আশিষকে ঘরের মধ্যে দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আমার স্ত্রীকে ধারালো এন্টিকাটার দিয়ে গলায় আঘাত করেন। পরে তাকে বাথরুমের ভেতরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দরজা আটকিয়ে দেয়। পরে সে স্ত্রীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, বাসায় থাকায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী বাথরুমের প্লাস্টিকের দরজা ভেঙে বাইরে আসে। তার ভাই ও মার সহায়তায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২২ অক্টোবর তাকে ছাড়পত্র দিয়ে টাঙ্গাইল বাসায় আনা হয়। এদিকে ২১ অক্টোবর টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলার পর অভিযুক্ত আশিককে ঘাটাইল থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। সে এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী উদ্যোক্তা জানান, আমি অসুস্থতার জন্য আমার স্বামীকে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারার কারণে থানায় লিখিত অভিযোগপত্রে সকল তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি বলে আমি মনে করছি। তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনার পর মামলা দায়ের করার সাথে সাথে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কিন্তু মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য না জেনেই এবং অপরাধ সংঘঠনের প্রয়োজনীয় আলামত ও আমার নিকট থেকে ঘটনার বিস্তারিত না জেনেই আসামীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

এছাড়া, আসামী বিভ্রান্তিমূলক, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল বিষয় অবতারণা করে মামলার মোড় ভিন্নখাতে ঘোরানোর পায়তাড়া করছে বলে মনে করছি। আমি এ বিষয় থেকে সুষ্ঠ তদন্তসাপেক্ষে পরিত্রাণ চাই এবং ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দিতে চাই, এ কারণে পুনরায় আসামীর রিমান্ড শুনানী করে তদন্ত কর্মকর্তা বের করতে পারেন এ আসামীর সাথে অন্য কেউ জড়িত আছেন কিনা। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *