টাঙ্গাইলে সীসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে কর্মসূচি পালিত

আইন আদালত টাঙ্গাইল সদর দিবস শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক সীসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর সকালে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম। সিভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ মোল্লা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ আজিজুল হক, জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং সিভিল সার্জন অফিসের অন্যন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, সীসা বিষাক্ত মৌলিক ধাতু, যা বিভিন্নভাবে শরীরে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে সীসা দূষণের মাত্রা ভয়াবহ হলেও জনসচেতনতা ও নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত। গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশু অর্থাৎ দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ শিশুর রক্তে উচ্চ মাত্রায় সিসা রয়েছে, যা তাদের বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি এবং গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঝুঁকিও বাড়ছে। এমতাবস্থায় শিশুদের জন্য সীসামুক্ত নিরাপদ পরিবেশ গড়তে প্রয়োজন সচেতনতা ও সম্মিলিতভাবে সীসা দূষণ প্রতিরোধে আওয়াজ তোলা প্রয়োজন।

বক্তারা আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি এমন অনেক জিনিসপত্র অ্যালুমিনিয়াম ও সিরামিকের বাসনপত্র, দেয়াল রং, বাচ্চাদের খেলনা ইত্যাদিতে সীসা মেশানো থাকতে পারে। এছাড়াও অনিরাপদে, খোলা জায়গায় সীসা-অ্যাসিড ব্যাটারি ভাঙা ও সীসা গলানোর রিসাইক্লিং কারখানা থেকে সীসা দূষণ ছড়ায়।’

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ চ্যাম্পিয়ন এবং বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রানার্স আপ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *