
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার, ৫ অক্টোবর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা শাহরিয়ার খান।
কনফারেন্সে ফোকাল পার্সন ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখনে টাঙ্গাইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মো. আজিজুল হক, বিভাগীয় বন কর্মকতা সাজ্জাদ উজ্জামান, পিবিআইয়ের প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান আনসারী প্রমুখ।
ওই পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) তৈয়বুল হাসান, বিদ্যুৎ আদালতসহ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পারিবারিক আদালতের বিচারক, টাঙ্গাইলের পিপি, জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট ইন্সপেক্টর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, সিএসআই ও জিআরও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার বক্তব্যে আদালতে সাক্ষী, আসামীর প্রতি ইস্যুকৃত সমন, গ্রেফতারী পরোয়ানা এবং ক্রোকী পরোয়ানা দ্রুত তামিলের জন্য সকল অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। প্রতিদিন আদালতে আনীত আসামীদের দুপুরে খাবার সরবরাহ করার জন্য জেল সুপারকে জেল কোড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণরে জন্য নির্দেশ দেন। গণপূর্ত বিভাগের প্রতিনিধিকে আদালতের লিফট সচল রাখাসহ যাবতীয় কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার আহবান জানান।
ফৌজদারী মামলা দ্রুত এবং কার্যকর তদন্ত নিশ্চিত করে তিনি যথাসময়ে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা, লাশের ময়নাতদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার পরার্মশ দেন। ছুটির দিনে নিয়মিত সাধারন দিনের ন্যায় বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিসহ টাঙ্গাইলের ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল এবং ত্বরান্বিত করণে সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।