নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বাশালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয়দের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে মাসিক বেতন ও বিদ্যালয়ের আনুসাঙ্গিক ফির নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করে আসছেন। এ বিষয়ে উপবৃত্তি সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বেতন প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে উপবৃত্তির তালিকা হতে তাদের নাম কেটে দেবার ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটিকে কুক্ষিগত করে ধরে রাখতে অযৌক্তিকভাবে মনোনয়ন ফরমের মূল্য ৩ হাজার টাকা করা হয়েছিল। যা সাধারণ অভিভাবকদের নাগালের বাইরে ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, সরকারী নীতিমালা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও এখানে কোন অভ্যন্তরীণ অডিট করানো হয় না। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট না হওয়ার সুযোগেই প্রধান শিক্ষক নানারকম কুটকৌশল অবলম্বন করে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিদ্যালয় আঙিনায় সাধারণ ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে উৎকোচ দিয়ে অন্যান্য বেশ কয়েকজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অনতিবিলম্বে অপসারণ করার দাবী জানান।
এ বিষয়ে বড় বাশালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী স্বল্পতা ও বিদ্যালয়ের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের বেতন গ্রহণ করা হয়। শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে তিনি জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্তমানে প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ রাখা হয়েছে।
বড় বাশালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক জানান, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য আসেনি। তদুপরি আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।