নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ তালহা ১ মাস ১৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গুলিবিদ্ধ পা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ছেলেকে নিয়ে হতাশায় মা। এদিকে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও গুলিবিদ্ধ পা সম্পূর্ণ ভালো হতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, ৫ আগস্টে ভাই বোন মিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন টাঙ্গাইল পৌরসভার বেড়াবুচনা সবুজবাগ এলাকায় খন্দকার আশরাফ আলীর ছেলে খন্দকার তালহা। তারা এক ভাই এক বোন। তিনি শহরের দারুল উলুম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
শহরের কলেজপাড়া এলাকায় বৈসম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল ছোড়ে। তালহা এ সময় আশ্রয় নেন পাশে থাকা একটি ৪ তলা বিল্ডিয়ের ছাদে। এ সময় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তালহা। তাৎক্ষণিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করলে সহপাঠীদের সহায়তায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গুলিবিদ্ধ তালহার মা কহিনুর বলেন, ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না গুলিবিদ্ধ তালহার’ শিরোনামে সংবাদটি প্রচারিত হওয়ায় আস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মো. এনামুল আমার ছেলের জন্য ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছিল। এ ছাড়াও ছাত্র সমন্বয়করা কিছু সহায়তা দিয়েছিল। তবে ছেলের পা এখনো ভালো হয়নি।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাদিকুর রহমান বলেন, তালহার চিকিৎিসা বাবদ কোনো খরচ হয়নি। শুধু তালহা নয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যতগুলো আহত আছে তাদের প্রত্যককেই বিনা খরচে চিকিৎসা করা হয়েছে। তালহার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে সময় লাগবে। তবে এখন কোনো ঝুঁকি নেই।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে দেখভাল করছি। এ ছাড়াও, তালহার জরুরি কিছু প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসন সবসময় প্রস্তুত আছে।