নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘাটাইলের হাটকয়েড়া পাবলিক একাডেমী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে বাণিজ্য ও অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত দাবী করেছেন প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য হাটকয়েড়া গ্রামের পুওণী মোঃ বায়েজীদ তালুকদার। এ বিষয়ে তিনি ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ঘাটাইল থানাধীন হাটয়েড়া পাবলিক একাডেমি যার কোড নং- ৪৬৭১, উপজেলা কোড: ১৯৬, জেলা কোড: ২৪, EIIN নং- ১১৪১১০। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও জোর বলে ১২ বছর যাবত সভাপতির দায়িত্বে আছেন ৫নং আনেহলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মোঃ শাহজাহান।
তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে সভাপতির পদাধিকার বলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেধাকে মূল্যায়ন না করে উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকসহ চতুর্থ শ্রেণির ৩জন কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা গত ১৯ এপ্রিল তারিখে সকাল ১০ ঘটিকার সময় তার পালিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দ্বারা স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে চতুপার্শ্বে ঘেরাও করে রাখেন যাতে অত্র প্রতিষ্ঠানে দাতা সদস্য এবং অন্য কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারেন। এছাড়া, অত্র প্রতিষ্ঠানে আব্দুস সামাদ নামে একজন সহকারী শিক্ষক বিগত ১০ বছর পর্যন্ত অত্র স্কুলে উপস্থিত না থেকে ঢাকা-গাজীপুর কোনাবাড়ীতে ব্যবসা বাণিজ্য করেন। কিন্তু উক্ত সভাপতির ক্ষমতা বলে তার হাজিরা শিটে দৈনন্দিন হাজিরার স্বাক্ষর একদিন উপস্থিত হয়েই স্বাক্ষর প্রদান করেন বলে জানা গেছে।
এ অবস্থায় আবেদনকারী সভাপতি নামধারী চেয়ারম্যান-এর স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্যসহ সকল কুকর্মের জন্য বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়টি জানার জন্য হাটকয়েড়া পাবলিক একাডেমী স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম তালুকদারের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার মোবাইল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ৫নং আনেহলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মোঃ শাহজাহানের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের গভর্নিংবডির সদস্যদের উপস্থিতিতে যথাযথ নিয়ম মেনেই প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। অভিযোগকারী ঈর্ষান্বিত হয়ে এ অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ স্কুলের অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই।