গোপালপুর প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থী ইমন (১৮) গত দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।
রোববার (১৮ আগস্ট) গোপালপুর উপজেলার নলীন গ্রামের নলিন হাই স্কুল মাঠে রাত ৯ টার দিকে জানাজা নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত ইমনের ছোট ভাই হাফেজ সুমন জানাজা পড়ান।
ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন বাজার এলাকার মৃত জুলহাস উদ্দিনের ছেলে। এর আগে সন্ধার পর ইমনের মরদেহ এলাকায় পৌছলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
জানাজায় জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শাকিল উজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা-উপজেলার সমন্বয়ক ও আত্মীয়স্বজন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।
নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার নলীন নইমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ভূঞাপুরের অলোয়া মনিরুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে গোপালপুরের হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন। পরে নিজের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের হাল ধরতে টাঙ্গাইলের এক চাচার বাসায় থেকে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে টিউশনি করতেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন ইমন। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ আগস্ট, রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে মারা যান তিনি।