মো. জাহিদ হোসেন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অফিস আদেশে বলা হয়, “অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ধারা ৪৭ (৫) “কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তার রাজনৈতিক মতামত পোষণের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন না করিয়া তাঁহার চাকুরীর শর্তাবলী নির্ধারণ করিতে হইবে, তবে তিনি তাঁহার উক্ত মতামত প্রচার করিতে পারিবেন না বা তিনি নিজেকে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সহিত জড়িত করিতে পারিবেন না”।
এবং ১২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড ও একাডেমিক কাউন্সিলের আভ্যন্তরীণ সদস্যবৃন্দ, সকল ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রভোস্ট, প্রক্টর ও অফিস প্রধানগণের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।”
কোটা সংস্কার আন্দোলন পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের রুমে তল্লাশি চালায় শিক্ষার্থীরা। তল্লাশি করে রুমগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র, জন্মনিরোধক ও যৌন উত্তেজক সামগ্রী উদ্ধার হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকদিন ধরেই রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস করার জন্য দাবি জানাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত দুই দফা দাবি মেনে নিয়ে মাভাবিপ্রবিতে সকল প্রকার ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর রাজনীতি আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি সকল শিক্ষা কার্যক্রম অতি দ্রুত খোলার আশ্বাস দেন।