ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে প্রেমিকাকে না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মঞ্জুর কাদের (১৮) নামে এক কলেজছাত্র। বৃহস্পতিবার, ১ আগষ্ট সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কলেজছাত্র কাদের উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে। তিনি ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঞ্জুর কাদেরের সাথে এক বছর আগে সহপাঠী এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেয়েটির অন্য জায়গা থেকে বিয়ে আসায় কাদেরকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। ছেলেটি তার সম্পর্কের কথা বাবা মাকে বলতে সাহস না পাওয়ায় তার বোনকে সব খুলে বলে।
এরপর কাদেরের বোন তার ভাইয়ের একটা চাকরি না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়েটাকে ফোনের মাধ্যমে ধৈর্য্য ধরতে বলেন। কিন্তু ওই মেয়েটি বারবার তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয় মঞ্জুর কাদেরকে। সে এসব চাপ সহ্য করতে না পেরে এবং মেয়েটিকে বিয়ে করতে না পেরে বৃহস্পতিবার সকালে গলায় ওড়না ও গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
মঞ্জুর কাদেরের বোন সুমি জানান, গত বুধবার রাতে একই ঘরের এক রুমে আমার বাবা মা ও আরেক রুমে আমার ভাই মঞ্জুর কাদের ঘুমায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবা ভ্যানগাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে যায় এবং মা ঘুমিয়েই থাকে।
এই সুযোগে আমার ভাই সকালে তার রুম থেকে উঠে পাশের খালি রুমে ঢুকে হাত দিয়ে বাহিরে শিকল আটকে দেয়। পরে ঘরের ধরনার সাথে ওড়না ও গামছা গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
তিনি আরও জানান, আমার ভাইয়ের সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি বিয়ের জন্য বারবার চাপ দেয় যে, তাকে বিয়ে না করলে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেবে। এই কথা সহ্য করতে না পেরে সকালে সে আত্মহত্যা করে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। পরে ওই মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন,‘ধারণা করছি, হয়তো ওই কলেজছাত্র তার বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।’