নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জেলার কয়েকটি থানায় আলাদা আলাদাভাবে ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত জেলায় ১৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যার অধিকাংশ বিএনপি ও জামায়াতের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৮ ও ১৯ জুলাই) দুই দিনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরসহ কয়েকটি ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, মধুপুর, ধনবাড়ী এবং ঘাটাইল থানায় আলাদা আলাদাভাবে ১০টি মামলা করেছে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। এরমধ্যে মধুপুরে এক শ্রমিক নেতা মামলা দায়ের করেছেন।
টাঙ্গাইলে ছদ্মবেশী দুস্কৃতিকারীরা ওই দুইদিনে আওয়ামী লীগ অফিস, পুলিশ বক্স, প্রধান ডাকঘর, যানবাহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী-বেসরকারী অনেক স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, জাতীয় চার নেতার ছবি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও তারা পুলিশ ও নিরীহ জনগনের উপরও হামলা চালায়।
এরআগে টাঙ্গাইলে কোটা আন্দোলনে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এছাড়া এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন। পরে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা হতে কারফিউ জারি করার পর থেকে টাঙ্গাইল জেলায় পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত হতে থাকে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলায় ১৬৬জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুস্কৃতিকারীরা ৭টি যানবাহন ভাঙচুর ও তিনটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এতে ২৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।