নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের সেন্ট্রাল মুক্তা হাসপাতালে আকলিমা বেগম (৪২) নামে এক ভ্যানচালকের স্ত্রীর পিত্তথলির পাথর অপারেশনে ভুলের কারণে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভাংচুর করে রোগীর স্বজনেরা।
গত ৬ জুলাই, শনিবার বিকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ধুলবাড়ী গ্রামের ভ্যান গাড়িচালক আব্দুল লতিফের স্ত্রী পেটে ব্যাথা নিয়ে টাঙ্গাইল পৌর শহরের মুক্তা ক্লিনিকে ভর্তি হন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার পেটের পিত্তথলিতে পাথর আছে নিশ্চিত করেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরে রবিবার, ৭ জুলাই ডা. ফরিদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে আকলিমা বেগমকে অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। অপারেশনের ৬ ঘন্টা পরও রোগীর জ্ঞান ফিরে না আসায় রোগীর সাথে থাকা স্বজনদের সন্দেহ হয়।
এ সময় স্বজনরা জানতে চাইলে ডা. ফরিদ আহমেদ জানান, অপারেশন টেবিলে রোগী স্ট্রোক করেছেন, তাকে রেফার্ড করতে হবে। এরপর ঐ দিনই রোগীকে ঢাকা এনাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয় বলে জানায় রোগীর স্বজনরা।
নিহত আকলিমার স্বামী আব্দুল লতিফ বলেন, এনাম মেডিকেলের চিকিৎসা ব্যয়ভার আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এরপরও তারা এক প্রকার জোড় করে এনাম মেডিকেলে পাঠায়। এনামে যাওয়ার সাথে সাথে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করেন তারা। পরে আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রোগীকে মৃত ঘোষণা করে এনাম মেডিকেলের কতৃপক্ষ।
স্বজনদের দাবী রোগী মুক্তা ক্লিনিকেই মারা গেছে, বাকিটা তারা নাটক সাজিয়েছে। আমরা ডা. ফরিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে ডা. ফরিদ আহমেদকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লিনিকে ভাংচুর করে রোগীর স্বজনেরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা ঘটনাস্থলে আসেন এবং রোগীর স্বজনদের সুষ্ঠ বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস প্রকাশ করলে পরিবেশ শান্ত হয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, আগামীকাল বুধবার (১০ জুলাই) এশার নামাজের পর বিষয়টি নিয়ে মুক্তা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসা হবে।