মধুপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে কাউন্সিলরের সংবাদ সম্মেলন

অপরাধ টাঙ্গাইল সদর ফিচার মধুপুর মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খানের বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের অভিযোগ তুলে বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ বাবলু আকন্দ। মঙ্গলবার, ২৫ জুন বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

 

 

লিখিত বক্তব্যে মো. বাবলু আকন্দ জানান জানান, তার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিয়ে আসছেন মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি (কাউন্সিলর) সাবেক চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবুর নির্বাচন করেন। প্রচারণা চালানোর সময় তাকে মধুপুর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রাণনাশের হুমকি দেন। নির্বাচনের পর মেয়র তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মেয়রের লোকজন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে মেয়র ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অনুসারী মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ বাবলু ও সুজন কোরবানি ঈদের আগের দিন রাতে কাউন্সিলরের ওপর হামলা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানেও অভিযুক্তরা হামলা চালায়।

তিনি আরও জানান, উক্ত হামলার ঘটনায় তার ডান পা ও বাম হাত ভেঙে যায়। এসব ঘটনায় গত ১৯ জুন ১২ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন। মামলা করার পরও পুলিশ এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। উল্টো আসামিরা বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত অবগত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মধুপুর পৌরসভার মেয়র ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আমার উপর হামলা করা হয়। এ অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার জিম্মি অবস্থায় এবং আতঙ্কে জীবন যাপন করছি। আমি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলরের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও তার মেয়ে নাফিজা ঈবনে বর্ষা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বাবলু কেমন মানুষ মধুপুরের মানুষ তা জানে।’

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, তারা দুই ভাইয়ে মারামারি করেছে। এ ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *