বাসাইলে জোড়া খুনে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

অপরাধ দুর্ঘটনা ফিচার বাসাইল

বাসাইল প্রতিনিধি: বাসাইল উপজেলায় জমি সংক্রান্ত ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলায় জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

 

শনিবার, ১৫ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে বাসাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন শেষে স্থানীয়দের বিক্ষোভ মিছিলটি থানা চত্বর প্রবেশ করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত মনোয়ারা বেগমের স্বামী শওকত আলী, ছেলে ছালাফি, মেয়ে শাহানাজ, নিহত আলালউদ্দিনের মেয়ে জাকিয়া, আল্পনা, ছেলে আল আমিন, ভাতিজা মো. রাসেল এবং স্থানীয় আলফাজউদ্দিন, মন্টু মিয়া, বাদল, আমজাদ আলী, মজনু মিয়া, আবু সাঈদ মিয়া ও জালালউদ্দিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, স্থলবল্লা উত্তরপাড়ার মজিবুর, আনোয়ার ও সানোয়ারের বাড়িতে একই পাড়ার শেখ আসাদুলের নেতৃত্বে দক্ষিণপাড়ার আনু, সেলিম, শফি, এনামুল হক, রাসেল, বাদল, ফরহাদ, ফরিদ, আওয়াল, শাহীন, নুরনবী, লিটন, আশিকুর রহমান রিজনসহ অনেকে মসজিদে মাইকিং করে দা, ফালা, টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমাদের এলাকার লোকজন প্রতিহত করতে যায়। ঝগড়া ফেরাতে গিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ নয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল আমিন জানান, জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। সেসময় তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির আশ্বাস দিলে তারা মানববন্ধন শেষ করে চলে গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি তিনজন পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের ভাই হেলালউদ্দিন বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে বাসাইল থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (১২ জুন) জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাসাইল উপজেলায় কাশিল ইউনিয়নের স্থলবল্লা গ্রামের উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নারীসহ দুইজন নিহত হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *