ধনবাড়ী প্রতিনিধি: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছেন এ জন্য আমি চির কৃতজ্ঞ। এটা টাঙ্গাইলসহ ধনবাড়ী মধুপুরবাসীর জন্য উপহার। আমাকে তিনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন সে দায়িত্ব যেন আমি নিষ্ঠারসাথে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবো।
শনিবার, ৮ মে বিকালে ধনবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যােগে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা বলেন, টাঙ্গাইলের মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করে, যেন মারামারি হানাহানি না করে, কারো জায়গা সম্পত্তি যেন দখল না করে, এটা আমার অনুরোধ। কারো সাথে কেউ লাগবেন না, তাহলেই দেখবেন সবাই ভালো আছে। আমার সাধ্যমত জনগণের স্বার্থে টাঙ্গাইলসহ সারাদেশের উন্নয়ন করব।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সামনে শিক্ষার নতুন একটা কারিকুলাম আসতেছে। আমরা সুশিক্ষিত হয়ে যেন সোনার বাংলা গঠন করতে পারি এ প্রত্যাশা করি।
ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর ফারুক আহমেদ ফরিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জরুল ইসলাম তপন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি বদিউজ্জামাল সোহাগ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এস এ এম সিদ্দিকী (আজাদ সিদ্দিকী), ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদু তালুকদার সবুজ, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু, মধুপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মাসুদ পারভেজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য অধ্যাপক মেহেরুল হাসান সোহেল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেত্রী শামসুন নাহার চাঁপা বর্তমানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। তাঁর বাড়ি ধনবাড়ী উপজেলার মুসুদ্দিতে।
এদিকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে অতিথি হিসেবে রাখা হয়নি। এ নিয়ে পুরো উপজেলাসহ জেলাতেও চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হলেও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল।
