নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বাঘিল কে কে উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার, ৭ জুন দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বাঘিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, স্থানীয় একটি মহল বিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিদ্যালয়ের আসন্ন ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ওই কুচক্রী মহলটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অভিভাবকদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
গত ৩ জুন, সোমবার ওই মহলের প্ররোচনায় স্থানীয় বহিরাগত বখাটে শামীম, বিজয়, সাকিব, ইমনসহ তাদের সঙ্গীরা বিদ্যালয়ের প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা বন্ধ করতে বিদ্যালয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা একটি মিথ্যা অভিযোগে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভয়-ভীতি দেখায় এবং দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। এছাড়া একটি মনগড়া লিফলেট ছাপিয়ে এলাকায় ছড়িয়ে দিয়ে বিদ্যালয় সম্পর্কে অভিভাবকদের মনে বিরূপ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন দপ্তরী মো. শামীম ওই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে একজন প্রার্থী হয়ে আবেদন করেন। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইকালে নিয়োগবোর্ডের কর্মকর্তারা জাল বা নকল সার্টিফিকেট দাখিল করার অপরাধে আবেদনপত্রটি বাতিল করে দেন। তারপর থেকে তিনি স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। পরে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জাল বা নকল কাগজপত্র দাখিল করার অপরাধে শামীমের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরোও জানান, উল্লিখিত ব্যক্তিরা এলাকার কুচক্রী মহলের প্রভাবে নানাভাবে মাঝে মাঝেই বিদ্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তিনি এ অবস্থার অবসান চান এবং বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লোকমান হোসেন ছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান চঞ্চল, বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোঃ আলি হোসেন, অভিভাবক সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ, মোঃ ইসমাইল হোসেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মন্তোষ কুমার ঘোষ, জেসমিন আক্তার, শামিম আরা, প্রবীর কুমার বসাক, আমিনুর রশিদসহ বিদ্যালয়ের হিতৈষীরা উপস্থিত ছিলেন।