মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরের পদত্যাগসহ ২১ দফা দাবিতে প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গেইট, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
২১ দফা দাবিতে রোববার থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন সোমবারও অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সারাদিন প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের পক্ষে স্লোগান দেন। এ সময় তারা প্রক্টর, ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান ও প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টরকে অবশ্যই শিক্ষার্থীবান্ধব এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকার বাড়ি মেসের ঘটনার সমাধান করতে হবে, অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ও পড়াশোনার মান নিশ্চিত করতে হবে, প্রক্টরের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশের মাধ্যমে একাডেমিক জট নিরসন করতে হবে, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গোল্ড মেডেলিস্ট, ডিপার্টমেন্ট ও ফ্যাকাল্টি সেরাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে, ছাত্রী হলের মেইন গেটের সময় বাড়িয়ে রাত ১০টা করতে হবে। সৌন্দর্য বর্ধনের নামে শুধু অর্থ অপচয় হয় এমন ফুল গাছ না লাগিয়ে ছায়া প্রদানকারী বিভিন্ন বৃক্ষরোপণ করতে হবে- এমনই ২১ দাবির কথা বলেন আন্দোলনকারীরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। শেষে প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিকভাবে জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেস মালিকের ছেলের মোবাইল ফোন সেট পরীক্ষা করে কোনো ভিডিও ফুটেজ পায়নি। মেস মালিকও ঘটনা অস্বীকার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী নিরাপত্তা চেয়ে ২৩ মে রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মোজাম্মেল হক শুরু থেকেই এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে প্রথম দিনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ও পরীক্ষায় ফিরিয়ে নিতেও কাজ চলছে।