কালিহাতী প্রতিনিধি: কালিহাতী উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেওয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
রোববার নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মনোনয়ন সংগ্রহে ইচ্ছুক অভিভাবকরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ জুন বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনের লক্ষে গত ২২ মে থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলেও শেষদিন ২৫ মে ৯ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেন।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে কৌশল অবলম্বন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তার পছন্দের প্রার্থীদের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নভাব বজায় রাখতে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য দাবি জানান অভিভাবরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস থেকে করা যাবে বলে ভুক্তভোগী অভিভাবকদের জানান প্রধান শিক্ষক মীর কামরুজ্জামান। যথা নিয়মে তারা মনোনয়নের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিসে যান। এ সময় প্রধান শিক্ষক মনোনয়ন ফরম দিতে অপারগতা প্রকাশ করে শেষ সময়ে তিনি বলেন উপরের চাপ থাকার কারণে মনোনয়ন দিতে পারছি না। তাদেরকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে মনোনয়ন ক্রয় এবং জমা দেওয়ার জন্য বলেন।
পরে অভিভাবকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করার জন্য যাওয়ার সময় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাদের বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ না করেই তারা ফেরত আসতে বাধ্য হন।
অভিভাবকরা বর্তমান অবৈধ তফসিল বাতিল করে পুনরায় তফসিল দেওয়ার জন্য দাবি জানান।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক মনোনয়নপত্র বঞ্চিত অভিভাবকরা নির্বাচন স্থগিতাদেশ চেয়ে রোববার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর কামরুজ্জামান বলেন, মনোনয়নপত্র দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। এর দায়িত্ব সম্পূর্ণ প্রিজাইডিং অফিসারের। মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা বিষয়ে কে কি বলবে তা বলতে পারবো না। তবে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম করা হয়নি।
কালিহাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার একেএম আমির হোসেন জানান, যারা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিল সবগুলোই বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন তিনি এরকম কথা বলতে পারেন না। যদি এরকম কথা বলে থাকেন তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।