সুলতান কবির: টাঙ্গাইল পৌরসভার কাজীপুরে চৌদ্দ বছরের এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে ৮ মাসের অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ওই প্রতিবন্ধীর শাররীক গঠন পরিবর্তন হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়।
শুক্রবার, ২৪ মে শহরের মমতাজ ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাম করার পর নিশ্চিত হয় ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের কাজিপুরের বিসমিল্লাহ টেক্সটাইল মিলে কাজ করতেন সেই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী। একই টেক্সটাইলে কর্মরত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাতপুর উপজেলার বনগ্রাম গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে ধর্ষক ইউসুফ। সেই সুবাদে বাক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে টেক্সটাইলের পাশে লেবু বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে একাধিকবার ধর্ষণ করে ইউসুফ। ধর্ষণের ফলে একপর্যায়ে তার শারিরীক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে কিশোরীর মা শহরের মততাজ ক্লিনিকে পরীক্ষা করায়। পরে নিশ্চিত হয় তার মেয়ে ৮ মাসের অন্তস্বত্ত্বা। বিষয়টি তাৎক্ষণিক টেক্সটাইল মিলের স্বত্বাধিকারী মহসিনকে জানালে মহসিন মীমাংসার কথা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে এবং ধর্ষক ইউসুফকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা জানান, তিনি তার স্বামীকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। প্রতিবন্ধী মেয়ে তার মায়ের সাথে থাকে। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে এসে বিষয়টি টেক্সটাইল মিলের মালিক মহসিনকে জানালে তিনি সুরাহার আশ্বাস দেন। সুরাহা না হলে আদালতে মামলা করবে বলে তিনি জানান।
ঘটনার বিষয়ে মিলের মালিক মহসিনের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি ওই লম্পট ইউসুফের নাম ঠিকানা বলতে অস্বীকার করেন। ভোটার আইডিবিহীন কীভাবে তাকে চাকরী দিলেন বললে অবশেষে তিনি নাম ঠিকানা বলেন। তবে ধর্ষক ইউসুফকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন প্রশ্ন করলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে ১০নং কাজিপুর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদশা জানান, উক্ত ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে তার কাছে কেউ না যাওয়ায় বিস্তারিত বলতে বলতে পারেননি।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে অভিযোগ দিলে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।