গোপালপুর প্রতিনিধি: গোপালপুরে প্রেম করে বিয়ের এক বছর পর স্ত্রী নুরী বেগমকে (১৮) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত স্বামী রাকিব মিয়ার (২২) বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মারধরের পর জ্ঞান হারালে স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে সেই হাসপাতালে মৃত স্ত্রী নুরীর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় রাকিব।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে গোপালপুর উপজেলা পৌর শহরের হাট বৈরান এলাকায়। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে রাকিব মিয়াকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তার স্ত্রী নূরী বেগম উপজেলার সূতি লাঙ্গল জোড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে এবং সে হাটবৈরিয়ান গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
নুরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে রাকিবের সাথে নূরী বেগমের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ের সম্পর্কে গড়ায়। বিয়ের পর থেকেই রাকিব নূরী বেগমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রাকিব নূরী বেগমকে মারধোর করে। এতে নূরী বেগম জ্ঞান হারালে রাকিব নিজেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে, রাকিব পালিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সারোয়ার হোসেন খাঁন সোহেল জানান, মৃত অবস্থায় নূরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে রাকিব নামে এক যুবক। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণার সাথে সাথেই রাকিব পালিয়ে যায়। মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়।
নূরীর বড় বোন মল্লিকা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত রাকিব তার বোনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। এমনকি তাদের সাথে মোবাইল ফোনেও কথা বলতে বাঁধা দিত। আমি রাকিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নুরী বেগমের স্বামী রাকিব মিয়াকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।