সখীপুর প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়ের জিহ্বা কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকরাম হোসেন কিসলু। শনিবার, ১১ মে বিকেলে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম আতিকুর রহমানসহ এক ইউপি সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে ইউপি সদস্যরা এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়কে উদ্দেশ করে আকরাম হোসেন কিসলু বলেন, একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে যারা সুসংগঠিত আওয়ামী লীগকে দ্বি-খণ্ডিত করার পায়তারা চালাচ্ছে। তাদের অন্যতম হলেন আপনাদের এলাকার এমপি (অনুপম শাহজাহান জয়)। যিনি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাকে আমি সাবধান করে দিতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যদি আবার কোনো দিন কোনো কথা বলেন, আপনার জিহ্বা থাকবে না। সকল মানুষকে নিয়েই আপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আপনি ভালো হয়ে যান।’
এ ছাড়া প্রতিবাদ সভায় বক্তারা হামলার ঘটনায় দোষীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেওয়া হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের)।
এ সময় যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বশির আহমেদের সভাপতিত্বে ওই সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বদিউজ্জামান ফারুক, উপদফতর সম্পাদক আনন্দ মোহন দে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মীর্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল, সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একেএম আতিকুর রহমান, সদস্য আসাদুজ্জামান লিটন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও আজমত আলী প্রমুখ৷
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্যের ছবি ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের ভাই ও যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়।। পরে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্যের অনুসারী দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। মামলা দুটি তদন্তাধীন রয়েছে।