সখিপুর প্রতিনিধি: সখীপুর কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিয়নের ৯ জন সদস্য (মেম্বার)। চেয়ারম্যনের প্রতি অনাস্থার ফলে ওই ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৬নং কালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জামালের বিরুদ্ধে নির্বাচিত হবার পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ কোনো কাজ না করেই বিভিন্ন কায়দায় তিনি আত্মসাৎ করে আসছেন। তিনি বিধি-বহির্ভূতভাবে একক সিদ্ধান্তে প্যানেল চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। তিনি ইউপি সদস্যদের গালাগালি করেন। এছাড়া, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণের পর থেকেই বিদেশে পাঠানোর নামে সাধারণ মানুষদের থেকে টাকা আত্মসাৎ, টিসিবি কার্ড দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, বিজিএফএর কাজে অনিয়ম, গ্রাম পুলিশ নিয়োগে উৎকোচ গ্রহণ, ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে অনিয়মসহ ১০টি অভিযোগ ওই অনাস্থা প্রস্তাবে কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
অনাস্থা প্রস্তাবে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন- ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুল আজিজ, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মামুন সিকদার, ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বদরুল হাসান বাদল, ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান। এছাড়াও আছেন সংরক্ষিত নারী (১ নং ওয়ার্ড) সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য আলিয়া আক্তার (১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড)।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মামুন সিকদার বলেন, চেয়ারম্যান যে কতটা অসৎ তা অভিযোগ তদন্ত করলেই বুঝা যাবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমার ছেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করবে এই কারণে মিথ্যা একটা অপবাদ দিয়ে আমাদের সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে একটি চক্র।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হোসেন পাটোয়ারী বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।