নাগরপুর প্রতিনিধি: নাগরপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজীব নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এইচএম জসিম উদ্দিন।
নিহত রাজীব হোসেন (৩০) উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে। সে ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাদ্রা গ্রামের আজাহার ও রাজীবের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিরোধের জের ধরে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি বেল গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে আজাহার ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজীবকে কোপাতে থাকে। এ সময় তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৫ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত রাজীবের ময়নাতদন্ত মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। সামান্য কারণে একটি তরতাজা প্রাণ ঝড়ে গেল। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।