মির্জাপুরে পাবলিক টয়লেট ভাড়া নিয়ে দোকান-স্যালুন পরিচালনা

অপরাধ দুর্নীতি ফিচার মির্জাপুর

মির্জাপুর প্রতিনিধি: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই রনারচালা এলাকায় চার লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা যাত্রীছাউনি ও পাবলিক টয়লেটটি আর যাত্রীদের ব্যবহারের পর্যায়ে নেই। তা দখল হয়ে দোকান ও সেলুন করে এসব ভাড়া দিয়ে মাসোহারা আদায় করছে একটি চক্র।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেন সড়ক প্রকল্পের কাজ চলার সময় গোড়াই এলাকায় পাবলিক টয়লেট ও যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়। টয়লেটটি ব্যবহার শুরু হওয়ার আগেই সম্মুখভাগে দরজা বন্ধ করে অবকাঠামো পরিবর্তন করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি স্যালুন ও একটি দোকান চলছে। আর বিশ্রামাগারে দেওয়া হয়েছে চায়ের দোকান।

অভিযোগ রয়েছে, গোড়াই এলাকার বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ছানোয়ার হোসেন দোকানগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর ম্যানেজার ফেরদৌস দোকান থেকে প্রতি মাসে ভাড়া তোলেন বলে দাবি করেন দোকান মালিকরা।

স্যালুনের মালিক শুভ জানান, প্রতি মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়ায় দোকানটি নিয়েছেন। মাস শেষে ফেরদৌসের কাছে ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। দোকান মালিক সালাম মিয়ার দাবি, বিদ্যুৎ, পানিসহ প্রতি মাসে ফেরদৌসের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করেন তিনি।

তবে এসব দোকান ভাড়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন ছানোয়ার হোসেন জানান, ফেরদৌস তার ম্যানেজার। সে ভাড়া তুলে মোনেম কোম্পানির এক কর্মকর্তাকে পাঠায়।

ভাড়া আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে আমার কাছে থেকে বিকাশের মাধ্যমে এই দোকান ভাড়ার টাকা নিয়ে থাকেন চার লেন সড়ক প্রকল্পের মোনেম কোম্পানির এক কর্মকর্তা। আমি শুধু ভাড়া তুলে দিয়ে থাকি।’ তবে বিষয়টি জানতে মোনেম কোম্পানির ফোরম্যান হাবিবুর রহমানের ইমু নম্বরে কল দিলেও রিসিভ করেননি।

মির্জাপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের বলেন, সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মহাসড়কের পাশে পাবলিক টয়লেট ও যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়। সেগুলো দেখভাল করা বা কোনো ইজারার ব্যবস্থা এখনও হয়নি। সেই সুযোগে কেউ হয়তোবা এসব কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *