সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ডাকবাংলো চত্বরের বিপরীতে নানাবিধ সমস্যা নিয়ে প্রাণী সম্পদ অফিসের কার্যক্রম চলছে। উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর ভবন সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সোমবার, ২২ এপ্রিল সকালে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কচুয়া পূর্বপাড়া ভূইয়া বাড়ির গৃহবধু নার্গিস আক্তারের ৫ মাসের ছোট্ট একটি বাছুর ছোটাছুটি করার সময় বাঁশের আঘাত পেয়ে পেটের চামড়া ছিদ্র হওয়ায় বাছুরকে নিয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসে। কিন্তু চিকিৎসা দেয়ার শেডঘর না থাকায় তার সন্তানের মতো বাছুরটি প্রখর রোদে ডাক্তার সেবা দিচ্ছে দেখে মনে কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু নার্গিস আক্তার তার বাছুরের যথাযথ চিকিৎসা পেয়ে আক্ষেপ ঘোঁচে গেছে।
সখীপুরে প্রাণী সম্পদের এই ভবনটি ১৯৮২ সালে নির্মাণ করা হয়। চারিদিকে প্রাচীর ঘেরা এক একর জমিতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত। এ পশু হাসপাতালের একটি মাত্র জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনে আবাসনসহ চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। একটি মাত্র ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে।
উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সামিউল বাছির হাসপাতালের ভবন ও জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আগেও হাসপাতালের নানা সমস্যার বিষয়টি লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, গত ৩ মাস আগেও আবার নতুন করে জানানো হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে হাসপাতালের প্রবেশ মুখ থেকে ভবনের চারিপাশসহ প্রায় সম্পূর্ণ আঙিনা পানিতে নিমজ্জিত থাকে। সীমানা প্রাচীরের কয়েকটি অংশে দেয়াল ভেঙে গেছে। এ নিয়ে পূর্বে একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। চিকিৎসা ল্যাবসহ নানাবিধ সংকট থাকা স্বত্ত্বেও সেবা যেন বিঘ্নিত না হয় তার চেষ্টা করি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ওই উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের নানান সমস্যার বিষয়টি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। দ্রুতই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।